কমিউনিটি গ্রুপ (সিজি) ও কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপ (সিএসজি) গঠনের নিয়ম

কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালনায় কমিউনিটি গ্রুপ (সিজি) ও কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপ (সিএসজি) গঠন/ ‍পুণ:গঠন ও হালনাগাদকরণে নির্দেশনা। উপর্যুক্ত বিষয়ের প্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, কমিউনিটি ক্লিনিক বর্তমান সরকারের একটি অগ্রাধীকার ভিত্তিক কার্যক্রম ও যুগান্তকারী পদক্ষেপ, যার কার্যক্রম আপনাদের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং সক্রিয় সহযোগিতার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে।

 

কমিউনিটি গ্রুপ (সিজি) গঠনের নিয়ম

কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপ (সিএসজি) গঠনের নিয়ম

 

উল্লেখ্য, কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালনায় কমিউনিটি গ্রুপ (সিজি) ও কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপ (সিএসজি) এর গুরুত্ব অপরিসীম। দেখা গেছে, যেসকল সিজি ও সিএসজি সক্রিয়, সেসকল কমিউনিটি ক্লিনিকগুলিই বিপুল সফলতা অর্জন করতে পারছে। বিভিন্ন উপজেলা হতে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে জানা গেছে, বেশকিছু কমিউনিটি ক্লিনিকের পরিচালনা কমিটি, যথা কমিউনিটি গ্রুপ (সিজি) ও কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপ (সিএসজি) এর মেয়াদ ইতোমধ্যেই ০২ (দুই) বৎসর পূর্ণ হয়েছে। তাছাড়াও কোন কোন কমিউনিটি ক্লিনিকের পরিচালনা কমিটি নিষ্ক্রিয়, কিংবা আশানুরূপ ভূমিকা রাখতে পারছেনা। কোন কোন সদস্যের পদ শূন্য হয়ে আছে। আবার কিছু নবনির্মিত কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য কোন কমিটি এখনও গঠিত হয়নি। এবিষয়গুলির প্রতি নিম্নস্বাক্ষরকারীর দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।

কমিউনিটি গ্রুপ (সিজি) ও কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপ (সিএসজি) গঠনের নিয়ম

 

এমতাবস্থায়, নিম্নলিখিত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আপনাকে অনুরোধ করা হলোঃ

১) যেসকল কমিউনিটি গ্রুপ (সিজি) ও কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপ (সিএসজি) সক্রিয় ও ভালভাবে কাজ করে যাচ্ছে, মেয়াদ ০২ বছর পূর্ণ হয়ে থাকলেও, সেক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা পৌরসভা/সিটি করপোরেশনের মেয়র এর জ্ঞাতসারে কমিটির বিদ্যমান সদস্যদের উপস্থিতিতে এলাকার জনপ্রতিনিধি, জমিদাতা, গণ্যমান্য ব্যক্তি, শিক্ষক-শিক্ষিকা, মুক্তিযোদ্ধা, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দসহ সকল শ্রেণী ও পেশার নর-নারীদের সমন্বয়ে একটি সাধারন সভা করে রেজুলেশন নিয়ে কমিটিগুলি পুনরায় ০২ বছরের জন্য নবায়ন করে নিতে হবে।

২) যেখানে যে কমিটিগুলি নিষ্ক্রিয়, সেগুলিকে উপরোক্ত নিয়মে সাধারন সভা করে পুনঃগঠন / হালনাগাদ করতে হবে, যেন প্রতি কমিটিতে সকল শ্রেণি, পেশা, মুক্তিযোদ্ধা, নর-নারী ও কিশোর-কিশোরীদের মধ্য হতে প্রকৃত কর্মোদ্যোগী, সৎ, ত্যাগী ও সমাজসেবীদের প্রতিনিধিত্ব ঘটে।

৩) যেখানে নতুন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন, তাকে পদাধিকার বলে কমিউনিটি গ্রুপ (সিজি) এর সভাপতি করে কমিটি হালনাগাদ ও কার্যকর করতে হবে।

৪) যেসকল কমিটিতে (সিজি ও সিএসজি) শুন্যপদ রয়েছে, সেখানেও সাধারন সভা করে উপরোক্ত নিয়মে স্বউদ্যোগী, ত্যাগী সদস্য-সদস্যাদের প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে কমিটি হালনাগাদ করতে হবে।

৫) সকল নবনির্মিত কমিউনিটি ক্লিনিকের ক্ষেত্রে কমিউনিটি গ্রুপ (সিজি) ও কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপ (সিএসজি) গঠনের নীতিমালা, ধাপ ও পদ্ধতি অনুসরণ করে কমিটিগুলি গঠন করতে হবে। প্রতিটি কমিটি ১৩ থেকে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট, তবে সর্বোচ্চ ১৭ সদস্যই কাম্য। কমিটি গঠনের পূর্বে কমিউনিটি গ্রুপের জন্য ছক সিএম-১ এবং কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপের জন্য ছকঃ সিএম-২ (কমিউনিটি গ্রুপ পরিচালনা কমিটি ও প্রশিক্ষণ সহায়িকা পুস্তকের শেষাংশে “সংযুক্তি-ক” ও “সংযুক্তি-খ দ্রষ্টব্য) অনুসরণ করতে হবে। কমিটিগুলি গঠন পূর্বক প্রতি কমিউনিটি ক্লিনিকের সিজি’র জন্য ০১ টি ছকঃ সিএম-১ এবং ০৩ টি সিএসজি’র জন্য আলাদা আলাদা করে ০৩ টি ছকঃ সিএম-২ যথাযথভাবে পূরণ করে আগামী ০৪ (চার) সপ্তাহের মধ্যে সিবিএইচসি কার্যালয়ে প্রেরণ করতে হবে।

৬) যেসকল কমিউনিটি ক্লিনিক বর্তমানে সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, সেখানে জনপ্রতিনিধি হিসাবে ইউপি সদস্য, মহিলা ইউপি সদস্যদের স্থলে কাউন্সিলরদেরকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এ বিষয়ে আপনার সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য।

Share Please!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top