তিনটি পদের সমন্বিত সেবায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার কেন্দ্রবিন্দু যেভাবে হয়ে উঠেছে কমিউনিটি ক্লিনিক। কমিউনিটি ক্লিনিকের থেকে একটি দম্পতি পরিবার পরিকল্পনার সেবা (পিল, কনডম, ইনজেকশন) গ্রহন করে FWA দের থেকে। যখন ওই মা’ টি গর্ভবতি হয় তখন CHCP রা ওই গর্ভবতী মায়ের রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, রক্ত স্বল্পতা, ওজন, উচ্চতা পরিমাপ করে আয়রন ও ফলিক এসিড ট্যাবলেট, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন, গ্যাসের ঔষধসহ শারিরীক কোন সমস্যা হলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ও পরামর্শ দিয়ে থাকে।
গর্ভবতী কার্ডের মাধ্যমে নিয়মিত (প্রতি মাসে) মনিটরিংয়ে রাখা হয়। সেই সাথে মায়ের পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ খাবার ও স্বাস্থ্য সচেতনা সম্পর্কে অবগত করা হয়। সিএইচসিপিদের যথাযথ কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে ও রেফারাল সিষ্টেমের কারনে নতুন গর্ভবতী মায়েরা প্রাইভেট ক্লিনিকমুখী থেকে সরকারী হাসপাতালমুখী হতে পারে। যার ফলে অযাচিত সিজারের থেকেও রক্ষা পায়। অনেক কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপিরা যারা সিএসবিএ ট্রেনিং পাওয়া তারা কমিউনিটি ক্লিনিকে বসেই স্বাভাবিক ডেলিভারী সম্পন্ন করাচ্ছে।
এর পর নবজাতক শিশুটি এই কমিউনিটি ক্লিনিকে এসেই HA দের নিকট থেকে টীকা(ইপিআই) গ্রহন করছে। গর্ভাবস্থায় মায়েরা টিটি টীকাও নিচ্ছে HA দের নিকট থেকে। এই তিনটি পদের সেবাকর্মীরা সমন্বিত দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিক এরিয়ার সকল জনসাধারনকেই নিয়মিত সেবা প্রদান করে চলেছে। যা দেশের সংখ্যাগরিষ্ট জনগনের জন্য অতীব গুরুত্বপুর্ন স্বাস্থ্যসেবা। এই ৩ পদের সেবাকর্মীদের সমন্বিত দায়িত্ব পালনে কমিউনিটি ক্লিনিক হয়ে উঠেছে তৃনমুলের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার কেন্দ্রবিন্দু হিসাবে। অর্থাৎ শিশুটি ভুমিষ্ট হওয়ার আগেই কমিউনিটি ক্লিনিকের সাথে পরিচিত হয়ে পড়ছে এই সমন্বিত সেবার সুফলে।