কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবাদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখাসহ সিএইচসিপিদের চাকুরী রাজস্ব খাতে স্থানান্তর প্রসঙ্গে। কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের অনুকূলে জনবল রাজস্ব খাতে স্থানান্তর ও নতুন পদ সৃজন প্রসঙ্গে। প্রান্তিক মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে ২০১১ সালে রিভাইটালাইজেন অব কমিউনিটি হেলথ কেয়ার ইনিশিয়েটিভ ইন বাংলাদেশ নামক প্রকল্প নেওয়া হয়। ক্লিনিক পরিচালনায় ১৩ হাজার ৮৬১ সিএইচসিপি নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০১৩ সালে তৎকালীন সচিব শাহনেওয়াজ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয় সিএইচসিপিদের চাকরি রাজস্বকরণ করা হচ্ছে। সাকুল্যে বেতন ৯ হাজার ৩৫০ টাকা ধরা হলেও শুরু থেকে ১৪তম গ্রেড করে ৮ হাজার ৫৫০ টাকা বেতন নির্ধারণ করা হয়। ২০১৪ সালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অপারেশনাল প্ল্যান (ওপি) তে অন্তর্ভুক্ত করার পর বেতন ভাতাদি জিওবি খাত হতে দেওয়া হয়। ওপিতে সরকারি সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার বিধান থাকলেও কর্তৃপক্ষ কখনোই দেয়নি।
২০১৫ সালে জাতীয় স্কেলে ১৪তম গ্রেডে ১০ হাজার ২০০ টাকা বেতন-ভাতাসহ ১৬ হাজার ৭০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ২০১৬ সালে কর্তৃপক্ষ ট্রাস্ট গঠনের উদ্যোগ নিলে সিএইচসিপিরা হাইকোর্টে রিট করে। হাইকোর্ট সিএইচসিপিদের চাকরি রাজস্বখাতে নেওয়ার রায় দিলে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে। পরে অদৃশ্য শক্তির ইশারায় আপিল বিভাগে হাইকোর্টের রায়কে বাতিল করে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টে ন্যস্ত করে। ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদে ট্রাস্ট আইন পাস হলেও দীর্ঘ ৬ বছরেও কোন সুবিধা দেওয়া হয়নি। গত ১৩ বছর ধরে সারা দেশের ১৪ হাজার সিএইচসিপি চাকরিতে বৈষম্য ও চরম শোষণের শিকার হয়েছেন। সকলে সংগ্রহে রাখুন নিচের ছবিগুলো।
ডাউনলোড নিংকঃ CHCP Job Permanent Notice
সিএইচসিপিদের চাকুরী রাজস্বখাতে স্থানান্তর প্রজ্ঞাপন
চাকুরী স্থায়ীকরন বিজ্ঞপ্তি নং ১
চাকুরী স্থায়ীকরন বিজ্ঞপ্তি নং ২
চাকুরী স্থায়ীকরন বিজ্ঞপ্তি নং ৩