যারা প্রশ্ন করছেন এতদিন কোথায় ছিলো কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মীগণ? আপনাদের বলছি, এইটা তৃতীয় দফা আন্দোলন এবং ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে আন্দোলন করেছিল। কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মীগণ ২০১৬ সালে ৫দিন আমরণ অনশনে ছিলো। ২০১৮ সালে ৪২ দিন আন্দোলন করেছে। ২০১৩ সাল থেকে রাজস্ব করার চিঠি দিয়েছে। তারপর এসিআর সার্ভিস বুক খোলা হয়েছে। করোনা কালেও শতশত লোক আক্রান্ত হয়েছে আবার নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়ে অনেকে মারাও গেছে। দুই টাকার শোকবার্তা ছাড়া আর কিছুই দেয়নি। শতশত ক্লিনিকে নরমাল ডেলিভারি হচ্ছে। অসংক্রামক রোগী গুলো উপজেলায় রেফার করা হচ্ছে এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা এবং কাউন্সিলিং করা হয়। তারা প্রতিদিন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শতশত মানুষকে স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে থাকেন। তাদের কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে কমিউনিটি ক্লিনিক পুরস্কার পেয়েছে। এছাড়া তাদের দাবির মধ্যে বহু যৌক্তিকতা রয়েছে। বঞ্চনার ও শোষণের এক বিরল দৃষ্টান্ত এই কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মচারীরা। যা পৃথিবীর ইতিহাসে নেই। দাবী ১০০% যৌক্তিক। এক যুগ ধরে একই বেতনে এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বৈষম্য।
আরও পড়ুনঃ
- সিএইচসিপিদের চাকুরী রাজস্বখাতে (সকল) স্থানান্তর বিজ্ঞপ্তি
- Community Health Care Provider (CHCP)দের চাকুরী স্থায়ীকরন বিজ্ঞপ্তি
- কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট আইন ২০১৮
সিএইচসিপিদের অন্তত পাচঁবার রাজস্ব করণের চিঠি দিয়েছে। হাইকোর্ট রাজস্বের রায় দিয়ে ছিলো। তবুও তাদের রাজস্বখাতে হস্তান্তর করা হয়নি। বাংলাদেশের সবচেয়ে বৈষম্যের শিকার এই সিএইচসিপি পদে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মী। কমিউনিটি ক্লিনিকের ১৪ হাজার সিএইচসিপি গত ১৩ বছর ধরে একই বেতনে চাকরি করছে। করোনাকালীন সময়ে বেতন ছাড়া, প্রণোদনা ছাড়া ফ্রন্টলাইনার হিসেবে কাজ করছে। হাইকোর্টের রায় ছিল রাজস্বকরনের কিন্তু কতিপয় দুর্নীতিবাজ আমলাদের জন্য তারা চরম বঞ্চনার শিকার হয়েছে। তাদের চাকরি রাজস্বকরন হোক। বাংলাদেশের তৃণমূল পর্যায়ের দরিদ্র মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে তাদের রাজস্বকরনের বিকল্প নেই। তাই একটাই দাবী রাজস্ব।
পৃথিবীর ইতিহাসে এটাই মনে হয় বিরল যে, কোন চাকুরিজীবী এক বেতনে ১৩ বছর চাকুরী করে আসছে। না জেনে অনেকে অনেক বাজে মন্তব্য করছে। ২০১৩ সালে হাইকোর্ট রাজস্বতে স্থানান্তরের আদেশ দেন। কিন্তু তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সেটায় হস্তক্ষেপ করে। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে ওনারা আবারো আন্দোলন করেন, তখন তাদের ট্রাস্টে স্থানান্তরের আদেশ দেন। কিন্ত আজ ৬ বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও তাদের ট্রাস্টের কোনো সুবিধা পাচ্ছেনা। ১ বেতনে ১৩ বছর যাবত চাকুরী করছেন। ২০১৮ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি দিলেও মন্ত্রণালয়ের কর্তারা তালবাহানা করে তাদের সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছে।
যেহেতু এদের অন্যান্য চাকরির ন্যায় লিখিত পরীক্ষা, ভাইবা, মেডিকেল, পুলিশ ভেরিফিকেশনসহ সম্পূর্ণ কার্যক্রম পরিপূর্ণ হয়েছে ও বিগত বছরগুলোতে বারবার রাজস্ব করণের চিঠি দিয়েছে। হাইকোর্ট রাজস্বকরনের জন্য রায় দিয়েছে এবং পূর্বেও দুই থেকে তিনবার আন্দোলন করেছে। সেহেতু বাংলাদেশের প্রান্তিক গরিব-দুঃখী মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চয়তা করার জন্য রাজস্বকরন করা খুবই জরুরী। কিন্তু কতিপয় দুর্নীতিবাজ আমলাদের জন্য তারাঁ চরম বঞ্চনার শিকার হয়েছে। তাদের চাকরি রাজস্বকরন হোক। বাংলাদেশের তৃণমূল পর্যায়ের দরিদ্র মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে তাদের রাজস্বকরনের বিকল্প নেই।
রাজস্ব করনের চিঠি তাহলে বার বার দেয় কেন? ট্রাস্ট আইন করে ২০১৮ সালে। তবুও ৬ বছর পর ২০২৪ সালে বাস্তবায়ন নাই কেন? ২মাস থেকে বেতন বন্ধ কেন? আছে এসবের উত্তর? না জেনে অনেকে অনেক বাজে মন্তব্য করছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপিদের ২০১৩ সালে হাইকোর্ট রাজস্ব তে স্থানান্তরের আদেশ দেন। কিন্তু তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সেটায় হস্তক্ষেপ করে। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে সিএইচসিপি আবারও আন্দোলন করেন। তখন তাদের ট্রাস্টে স্থানান্তরের আদেশ দেন। কিন্ত আজ ৬ বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও তাদের ট্রাস্টের কোনো সুবিধা পাচ্ছেনা। তারাঁ ১ বেতনে ১৩ বছর যাবত চাকুরী করছেন। ২০১৮ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি দিলেও মন্ত্রণালয়ের কর্তারা তালবাহানা করে তাদের সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছে।
যারা হাসপাতাল ভেবে মন্তব্য করছেন। এটা গ্রামের ভিতর দুই কক্ষ/চার কক্ষ বিশিষ্ট প্রতিটি ইউনিয়নে ওর্য়াড ভিত্তিক কমিউনিটি ক্লিনিক।
সিএইচসিপি ডেজিগনেশন এবং কমিউনিটি ক্লিনিক নিয়ে একটু স্টাডি করে কমেন্ট করেন প্লিজ। মিথ্যা কনসেপ্ট নিয়ে কাউকে ব্লেম দিলে আল্লাহ লানত পড়বে তাদের উপর। তারা গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে নিরলসভাবে সেবা প্রদান করে যাচ্ছে কিন্তু তারা কোন সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেনা। ২০১৮ সালে আন্দোলন করছিল, হাইকোর্ট রাজস্ব করন করার জন্য আদেশ দিলেও রাজস্বকরন করা হয়নি।
বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামীণ নাগরিক জানেন কমিউনিটি ক্লিনিকের একজন CHCP তাদের জন্য কতটা নিরলস পরিশ্রম করে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করে যাচ্ছেন। অথচ এই CHCP গণ এক ভয়াবহ বৈষম্যের শিকার। একই বেতনে ১৩ বৎসর চাকরি করে তারা দূর্বিষহ ও মানবেতর জীবন-যাপন করে। বাংলাদেশের গ্রামীন জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের প্রতিটি জেলার সিভিল সার্জন এবং উপজেলার UH &FPO স্যার জানেন স্বাস্থ্যখাতে CHCP-দের কী পরিমাণ অবদান।