শাহবাগের ২১ আগস্ট ২০২৪ তারিখের শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত প্রসঙ্গে। প্রিয় সিএইচসিপি ভাই-বোনেরা, আসসালামু আলাইকুম/আদাব। প্রথমে সকলের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
আপনাদের সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ২০ আগস্ট ২০২৪ তারিখ বিকাল ৫.৩০টার সময় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয়ে মাননীয় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, স্বাস্থ্য সেবার সচিব মহোদয়, উপসচিব মহোদয় সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক কে মন্ত্রণালয়ে ডাকেন,আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবী গুলো তুলে ধরি,মাননীয় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা মহোদর মনযোগ দিয়ে শুনেন। সচিব মহোদয় কে জিজ্ঞেস করেন তাদের বেতন বাড়াননি কেন,তারা প্রকল্পে ছিল,এর পর ওপারেশন প্লানের আওতায় ছিল, এরপরেও কেন,বেতন বাড়াতে পারেন নি। ২০১৮,সালে আইন পাস হয়,আইন পাস হওয়ার কেন বাড়েনি, কোন উত্তর দিতে পারে নাই।
তখন আমাদের বলে তোমরা কি চাও বাবা, আমরা বলছি জনবল রাজস্ব চাই,১২তম গ্রেড চাই, ২০১১সাল চাকুরীর শুরু থেকে ইনক্রিমেন্ট চাই, তখন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা মহোদয় বলেন ঠিক আছে তোমাদেরকে রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত করলাম। সচিব মহোদয় বললেন সচিব কমিটি থেকে দ্রুত পাস করাই দেব, এর পর জিও জারি হবে।
তোমাদের গ্রেড ও পরিবর্তন হবে, সেইটা অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাজ সেইটাও দ্রুত করাই দেব। তোমরা কর্মস্থলে ফিরে যাও, কাজ কর। এখন কমিউনিটি ক্লিনিকের কাজ এবং পারফরমেন্স দেখব, যদি তোমার পরফরমেন্স ভালো হয়,তাহলে আমি কমিউনিটি ক্লিনিট আরো মডারেট করব। যদি ভালো কাজ না করেন,তাহলে এর ব্যবস্থা নেব। আগামী ২/১সপ্তার মধ্যে তোমরা বকেয়া বেতন সহ পেয়ে যাবা,আমি বেতন বিল ছেড়ে দিয়েছি।
তাই মাননীয় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা মহোদয়ের অনুরোধে ২১ আগস্ট ২০২৪ তারিখের কর্মসূচি স্থাগিত করলাম। ধন্যবাদ সবাইকে।
ধন্যবাদান্তেঃ
মুহাম্মদ নঈম উদ্দিন
সাধারণ সম্পাদক
বাংলাদেশ সিএইচসিপি এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় সংসদ।
ক্লিয়ার কথা হলো – প্রকল্প থেকে রাজস্বখাতে নেয়ার পূর্বে অবশ্যই পদ সৃজন করতে হয়। আমাদের রাজস্বখাতে পদ সৃজনের প্রাথমিক কাজ প্রায় শেষ এখন সচিব কমিটিতে অনুমোদন বাকি। এখন এই পত্র মোতাবেক প্রাথমিক দলিলাদি মন্ত্রিপরিষদে প্রেরণ করা হবে/হয়েছে প্রশাসনিক অনুমোদনের জন্য। স্বাস্থ্য + প্রধান উপদেষ্টা অনুমোদন দিলেই আমাদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থায়ী করা হবে। আর এটার জন্য ৭-১০ দিন সময় লাগবে। আন্দোলন এজন্য স্থগিত ঘোষনা করা হয়েছে। ধন্যবাদ।
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় সহকর্মী ভাই বোন ও বন্ধরা! কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমাদের উচিত রাজপথ ত্যাগ করে যার যার কর্মস্থলে ফিরে যাওয়া। বর্তমান সরকার জনগণের সরকার, মজলুমদের সরকার। এই সরকার আমাদের ১৩ বছরের লাঞ্ছনা বঞ্চনার করুন ইতিহাস সম্পর্কে অবহিত হয়ে সাথে সাথে সচিব মহোদয়কে নির্দেশ দিয়েছেন আমরা যেন স্বল্প সময়ের মধ্যেই রাজস্বে পদার্পণ করতে পারি তার সকল ব্যবস্থা করবেন যা আপনারা ইতিমধ্যে সুপারিশ চিঠির মাধ্যমে অবগত হয়েছেন।
অনেকেই পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে বলাবলি করছেন, এরকম আশ্বাসের চিঠি অনেক দিয়েছেন তারা কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ভাই জুলুমবাজ সরকারের আমল আর জনগণের সরকারের আমল একসাথে গুলিয়ে ফেলা কি আমাদের ঠিক হবে?
এই চিঠি সরাসরি সচিব মহোদয় ইস্যু করেছেন।
পূর্বের এমন একটা চিঠি কি কেহ দেখাতে পারবেন যা সচিব মহোদয় দিয়েছেন? আগের চিঠিগুলো ছিল
ঘষেঠি বেগম মাখদুমা নার্গিসের।
আমি আবারও বলছি, আজকে ঢাকা অবস্থান করে কোন কর্মসূচি করা আমাদের জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে। উপদেষ্টা মহোদয় আশ্বাস দিয়েছেন যত দ্রুত সম্ভব আমাদের দামি কার্যকর করা হবে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই আমাদের বেতন ভাতাদি পেয়ে যাবো।
আপাতত চৌদ্দ গ্রেটেই আমাদের রাজস্বের সকল বন্দোবস্ত হবে, পর কিভাবে আমাদের গ্রেডকে বাড়াতে উন্নিত করা যায় তার ব্যবস্থা করবেন।
আপনারা কেন্দ্রীয় লিডারদের সর্বশেষ বক্তব্যটি শুনে নেন তাহলে বিস্তারিত পরিস্কার হবেন।
এরপরও যদি কেহ গোঁড়ামি করে কর্মস্থলে না গিয়ে ঢাকায় অবস্থান নেন তার দায় দায়িত্ব কেন্দ্রীয় কমিটি নেবে না।
শেষ কথা, আমরা ঢাকায় অবস্থান নিয়েছি কেন্দ্রীয় কমিটির ডাকে, ঢাকা ত্যাগ করছিও তাদের নির্দেশে।
জয় হোক সিএইচসিপির, জয় হোক মানবতার।