প্রেসক্রিপশন সংকেত | প্রেসক্রিপশন বুঝার নিয়ম

জানেন কি, ওষুধের প্রেসক্রিপশনে উল্লেখিত চিহ্নগুলো কিসের ইঙ্গিত দেয় ? তবে জেনে নিন, প্রেসক্রিপশন সম্পর্কিত অজানা কয়েকটি তথ্য সম্পর্কে । ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনে কোন সংকেত দ্বারা কি বোঝানো হয় তা জেনে নেই। চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন পড়ে ওষুধ বের করার কাজটা পুরোপুরি ফার্মেসী র্মে কর্মীর ওপর ছেড়ে দেয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। কারণ ছোট একটি ভুলের জন্য অনেক বড় মাশুল দিতে হতে পারে।

 

আরও পড়ুনঃ মেডিকেল শব্দকোষ যা প্রেসক্রিপশনে ব্যবহৃত হয়।

 

সাধারণত চিকিৎসকগণ কিছু ল্যাটিন শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ ব্যবহার করে প্রেসক্রিপশন লেখেন। সচেতন রোগী হিসেবে প্রেসক্রিপশন লেখার সময়ই এগুলো বুঝে নেয়ার চেষ্টা করা উচিত। সেটা সম্ভব না হলে সহকারীর কাছ থেকে বুঝে নেয়া উচিত। কাজেই ছোটখাট কোন ভুল হয়ে থাকলে এ পর্যা য়ের্যা সেটা ধরা পড়ে। তাছাড়া অতীতে কোন ওষুধে রোগীর গুরুতর কোন পার্শ্বপ্রর্শ্বতিক্রিয়ার ইতিহাস থাকলে সেটাও সাথে সাথে জানালে চিকিৎসক ওষুধ বদলে দিতে পারেন। কোন ওষুধ চলাকালীন সময়ে মারাত্নক পার্শ্বপ্রর্শ্বতিক্রিয়া দেখা দিলে সেটাও চিকিৎসককে জানানো উচিত।

অনেক চিকিৎসক প্রেসক্রিপশন টাইপ করিয়ে দেন, কিন্তু অধিকাংশই হাতে লিখে দেন। হাতে লেখা প্রেসক্রিপশনটি পড়ে সঠিক মাত্রার সঠিক ওষুধটি দেয়া হচ্ছে কিনা সেটা সচেতন রোগীমাত্রই সতর্কতা র্ক র সাথে মিলিয়ে দেখতে চাইবেন।

আবার ওষুধ কখন, কিভাবে খেতে হবে সেটা বোঝাও জরুরি। এজন্য বহুল ব্যবহৃত শব্দ সংক্ষেপগুলো সহায়ক হতে
পারে। ওষুধের তিন ধরনের নামের কথা বলা যায়: কেমিকেল নেম বা রাসায়নিক নাম, জেনেরিক নেম এবং ব্র্যান্ড নেম। কেমিকেল নেম রসায়ন শাস্ত্রের দৃষ্টিকোণ থেকে রাসায়নিক গঠনের ওপর ভিত্তি করে হয়। আর জেনেরিক নেম ঐ রাসায়নিকের প্রচলিত নাম। অন্যদিকে একটি ওষুধ বাজারজাত করার সময় সংশ্লিষ্ট কোম্পানী একটি নাম দেয়, এটিই ব্র্যান্ড নেম।

  • যেমন: প্যারাসিটামল হচ্ছে জেনেরিক নেম, আর নাপা, এইস ইত্যাদি ব্র্যান্ড নেম। অর্থা ৎর্থা নাপা কিংবা এইস সেবনের অর্থ একই। কাজেই চিকিৎসকের লেখা ব্র্যান্ড নেমের ওষুধ না পাওয়া গেলে একই জেনেরিক নেম ও ক্ষমতার অন্য ওষুধ কেনা যেতে পারে। তবে অনেক সময় চিকিৎসকগণ নির্দিষ্ট একটি ব্র্যান্ড নেমের ওষুধই যে সেবন করতে হবে সেটা লিখে দেন।
প্রেসক্রিপশনে ব্যবহৃত কিছু সংক্ষিপ্ত নামঃ
  • OPD = আউট পেশেন্ট ডিপার্টমেন্ট। অর্থাৎ, রোজ যে রোগী হাসপাতালে ডাক্তার দেখান কিন্তু ভর্তি থাকেন না, এমন রোগীদের ক্ষেত্রে OPD ব্যবহার করা হয়।
  • IPD = ইন পেশেন্ট ডিপার্টমেন্ট। অর্থাৎ, হাসপাতলে ভর্তি থেকে চিকিৎসা করান, এমন রোগীদের ক্ষেত্রে IPD ব্যবহার করা হয়।
  • C/O = কেয়ার অফ। অর্থাৎ, রোগী যখন তার শারীরিক সমস্যা ডাক্তারকে বলেন, সে ক্ষেত্রে কেয়ার অফ লিখে সে সমস্যাগুলো লিখে রাখেন।
  • o/e = অন এক্সামিনেশন। অর্থাৎ, ডাক্তার রোগীকে দেখে যা বোঝেন, তা লিখে রাখেন অন এক্সামিনেশন লেখার পর।
  • Rx = প্রেসক্রিপশন। অর্থাৎ, রোগীকে যে ওষুধগুলো বলবেন, সেগুলো লেখার আগে Rx লেখেন।
  • Hx = হিস্ট্রি। অর্থাৎ, রোগীর আগে যেসব সমস্যা ছিল, সেগুলো লিখে রাখেন।
  • Sx = সিমটমস। অর্থাৎ, রোগীর কী কী লক্ষণ রয়েছে।
  • Dx  = ডায়াগনসিস। অর্থাৎ রোগী কি রোগে ভুগছেন, সেটি পরীক্ষার পর লিখে রাখেন।
শরীর সম্পর্কে কিছু সংক্ষিপ্ত ব্যবহার করা নাম বা অক্ষর
  • Bp = ব্লাড প্রেশার বা রক্তের চাপ
  • HR = হার্ট রেট বা হৃদ্‌স্পন্দন
  • PR = পালস রেট
  • T = তাপমাত্রা
  • BSF = ব্লাড সুগার ফাস্টিং
  • usg = আল্ট্রাসনোগ্রাফি
  • CXR = চেস্ট/বুক এক্সরে
  • RR = রেসপিরেশন বা শ্বাসপ্রশ্বাস


কখন ও কীভাবে ব্যবহার করতে হবে সেগুলোর সংক্ষিপ্ত নাম

  • আর এক্স: চিকিৎসা
  • কিউ: প্রত্যেক
  • কিউ ডি: প্রতি দিন
  • কিউ ও ডি: এই দিন ছাড়া প্রতিদিন
  • কিউ এইচ: প্রতি ঘণ্টায়
  • এস: বাদ দিয়ে
  • সি: সঙ্গে
  • এস ও এস: জরুরি ভিত্তিতে করণীয়
  • এ সি: খাবার খাওয়ার আগে
  • পি সি: খাবার খাওয়ার পরে
  • বি আই ডি: দিনে দুবার
  • টি আই ডি: দিনে তিনবার
  • বি ডি/ বি ডি এস: দিনে দুবার ওষুধ নিতে হবে
  • টি ডি এস: দিনে তিনবার ওষুধ নিতে হবে
  • কিউ টি ডি এস: দিনে চারবার ওষুধ নিতে হবে
  • বিটি: শোয়ার সময়
  • বিবিএফ: প্রাতরাশের আগে
 
ওষুধের বিভিন্ন ধরন বোঝাতে যে সংক্ষিপ্ত নাম ব্যবহার করেন
  • tab =  ট্যাবলেট  =  tablet.
  • Cap = ক্যাপসুল  =  Capsule.
  • Syp  = সিরাপ =  Syrup.
  • Inj  =  ইনজেকশন = injection.
  • IV Inj  = শিরায় ব্যবহৃত ইনজেকশন  = injection Iv.
  • IM Inj = মাংসপেশিতে ব্যবহৃত ইনজেকশন  = injection IM.
  • oint =  মলম = ointment.



ওষুধের পরিমাণ বা ডোজ 
  • ml = মিলি লিটার
  • mg = মিলি গ্রাম
Share Please!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 thoughts on “প্রেসক্রিপশন সংকেত | প্রেসক্রিপশন বুঝার নিয়ম”

Scroll to Top