বেতন বরাদ্দ হওয়ার পরও বৈষম্যের শিকার ৭০০ জন সিইচসিপি, ঈদ উদযাপন করতে হচ্ছে ৯ মাসের বকেয়া বেতন-বোনাস ছাড়াই। যদিও পুরাতন সিএইচসিপিদের বেতন বরাদ্দ ২৯ মার্চ ২০২৫ তারিখে স্ব স্ব উপজেলায় প্রদান করা হয়েছে। নতুন নিয়োগ প্রাপ্তদের জন্য এটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং অন্যায় পরিস্থিতি।
এদিকে স্বাস্থসেবা বিভাগের এক নোটিশে দেখা গেছে যে, কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত মোট ১৩,৯৪৯ (তেরো হাজার নয়শত ঊনপঞ্চাশ) জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ১৫ ডিসেম্বর/ ২০২৪ হতে জুন/২০২৫ পর্যন্ত বেতন ভাতাদি ম্যানুয়ালি প্রদানের সম্মতি প্রদান করা হয়েছে।
তাহলে নতুন ৭০০ জন কেন বেতন-ভাতা পাবে না? আশা করছি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নেবে এটাই ২০২২ সালের নিয়োগপ্রাপ্ত সিএইচসিপিদের প্রত্যাশা।
একটি চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে যে, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের আওতাধীন “কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট (সিসিএইচএসটি)” এর আওতায় কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত সিএইচসিপিদের বেতন ভাতা প্রদান করা হয়েছে। উপর্যুক্ত বিষয় ও আলোকে জানানো যাচ্ছে যে, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের আওতাধীন “কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট (সিসিএইচএসটি)” এর আওতায় আপনার উপজেলাধীন কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত (২০২৩ সালে নতুন যোগদান কৃত সিএইচসিপি ব্যাতীত) সিএইচসিপিদের ১৫ ডিসেম্বর/২৪ হতে মার্চ/২৫ পর্যন্ত বেতন ভাতাদি প্রদান করা হলো। অর্থাৎ ২০১১ সাল হতে ২০১৮ সাল পর্যন্ত নিয়োগপ্রাপ্ত সিএইচসিপিদের বেতন ভাতা ১৫ ডিসেম্বর/২৪ হতে মার্চ/২৫ পর্যন্ত পরিশোধ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে লাইন ডাইরেক্টর ডাঃ মোহম্মদ হাবিবুর রহমান স্যার বলেন,
২০২৩-২৪ এ নিয়োগপ্রাপ্ত CHCP রা মনোকষ্ট নিবেন না। আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আপনাদের প্রাপ্তিটা বিলম্বিত হচ্ছে। ইনশাআল্লাহ জুনের ২৫-২৬ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করা হবে। আল্লাহ সহায় হোন।
আরও জানা গেছে যে, ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর ট্রাস্টে যোগদানের জন্য যে চিঠি ইস্যু করা হয়েছিল, সেখানে নতুন পুরাতন উল্ল্যেখ নেই বরং সকল সিএইচপিদের যোগদানের কথা বলা হয়েছে। আবার বেতন বরাদ্দের চিঠিতেও নতুন পুরাতন উল্ল্যেখ না করে ১৩,৯৪৯ (তেরো হাজার নয়শত ঊনপঞ্চাশ) জন-এর কথা বলা হয়েছে।
রফিক নামে ২০২২ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত একজন সিএইচসিপি লিখেছেনঃ
কোন ধরনের আমলাতান্ত্রিক জটিলতা আমরা ২২ব্যাচ জানতে চাই স্যার? একসাথে যোগদান করার পরেও আমার মাদার প্রতিষ্ঠানে শুধু জটিলতা, আর কোথাও জটিলতা পায়নি স্যার৷ অর্থ, স্বাস্থ্য ও জনপ্রশাসন ১৩৯৪৯ জনের স্যালারি পোষ্টিং দিতে বলছে কিন্তু আমাদের ট্রাস্টি বোর্ড রহস্যজনক ভাবে ২২ ব্যাচ বাদ দিয়ে বেতন চাহিদা চেয়েছে। আমরা কোনো প্রকল্প থেকে বেতন নিবো না। এর আইনি ব্যাখ্যা আমরা চাইবো স্যার।
রতন দাস নামে ২০২২ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত একজন সিএইচসিপি লিখেছেনঃ
কর্তৃপক্ষের অদূরদর্শিতায় নতুনরা বেতন পেল না কর্তৃপক্ষ চাইলে এই বরাদ্দ থেকেই দিতে পারত যা ইতিমধ্যে তারা বুঝতে পেরেছেন বি:দ্র: বেতন কিন্তু ১৩৯৪৯ জনের অনুমোদন হয়েছে শূন্য পদ সহ
শাহাদাৎ হোসাইন নামে ২০২২ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত একজন সিএইচসিপি লিখেছেনঃ
অদূরদর্শিতায় নয়, কর্তৃপক্ষের অনিচ্ছায় ২২/২৩ বেতন পেলনা। ২২/২৩ এর প্রতি কর্তৃপক্ষ উদাসীন দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট।
মিঠুন রহমান নামে ২০২২ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত একজন সিএইচসিপি লিখেছেনঃ
যদি আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় নতুনদের বেতন না হয়ে থাকে, তাহলে কতৃপক্ষ কী আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করার জন্য কোন পদক্ষেপ নিয়েছে, কি সেই আমলাতান্ত্রিকতা যা দূর করার জন্য প্রকল্পই একমাত্র পথ? ভাগ্যিস বাংলাদেশে ৬৩৪ শক্তিশালী সি এইচ সিপি পদ সৃষ্টি হয়েছে যেখানে কোন কর্মচারি ন্যাস্ত হতে পারবেনা সে পদগুলো শক্তিশালী এবং অবিনশ্বর।
ট্রাস্টের সাংগঠনিক কাঠামোতে সিএইচসিপিদের জন্য অস্থায়ীভাবে সৃজিত ১৩৯২৩ পদে ২০২২ সালের নিয়োগ সার্কুলার অনুযায়ী নিয়োগকৃতদের অন্তর্ভুক্তকরণ প্রসঙ্গে একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করে নিম্ন লিখিত দাবী পেশ করেন।