কমিউনিটি ক্লিনিক এখন একটি স্বানামধন্য স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠান এত সুনাম যশ খ্যাতি অর্জন করল কার মাধ্যমে, কাদের পরিশ্রমের ফলে এই স্বল্প সময়ে সারা বিশ্বব্যাপী আলোকরশ্নির ন্যায় ছড়িয়ে পড়ল কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মযজ্ঞ। এই সুনাম অর্জনকারী কর্মী বাহিনীর কথা ,তাদের সেবার কথা, কিন্তু কখনও সরকার বা পত্রপত্রিকা প্রচার করে না । প্রচার করে কমিউনিটি ক্লিনিকের কথা । সেখানে খাতা কলমে কাজ করে আরো অনেকে । প্রকৃত কর্মীদের দুদর্শার কথা পরিশ্রমের কথা কখনও কেউ স্মরণ করতে চাই না ?
কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালনার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা / চাকুরী বিধিমালা আছে যা , স্বাস্থ্য বিভাগের ওয়েব পোর্টালে দেওয়া আছে। সেই নীতিমালার নেই সঠিক বাস্তবায়ন । সেই ননীতিমালা একমাত্র কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালনায় শুধুমাত্র বাস্তবায়ন সিএইচসিপি দের উপর করা হয়।এবার আসি কমিউনিটি ক্লিনিক বনাম সিএইচসিপির গল্পেএকটি প্রতিষ্ঠান কমিউনিটি ক্লিনিক এবং তার পরিচালনার দায়িত্ব এখন সিএইচসিপি নামক এক রোবট কর্মীর। সিসির ১৭টি রেজিষ্টার খাতার কাজ প্রতিনিয়ত আপ টু ডেট রাখা । সকল কাজ সমন্বয় করে এই কর্মীকে। মাস শেষে সিসির বিদ্যুৎ বিলটা নিয়ে নিজ পকেটের টাকায় বিদ্যুৎ অফিসে দৌড়ানো ।
কমিউনিটি ক্লিনিক উল্লেখযোগ্য সেবাসমূহ:
- প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা
- গর্ভবতী ও প্রসূতির স্বাস্থ্য সেবা
- নবজাতক ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা
- পরিবার পরিকল্পনা সেবা
- পুষ্টি সেবা
- ইপিআই
- সাধারণ রোগ ও জখমের চিকিৎসা সেবা
- অসংক্রামক রোগ সনাক্তকরণ ও রেফারেল
- কিশোর-কিশোরী ও নববিবাহিত দম্পতিদের সেবা
- কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রদান, জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি ও টিকা প্রদানে সহযোগিতা প্রদান
- স্তন ও জরায়ু মুখে ক্যান্সার প্রতিরোধ বিষয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রদান, জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি ও ভায়া স্ক্রিনিং, রেজিষ্ট্রেশন করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ
- জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধীকরণ
- জরুরি ও জটিল রোগীর রেফারেল সেবা
- স্বাভাবিক প্রসব (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
- কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মএলাকার জনগণকে খানাভিত্তিক অনলাইন রেজিষ্ট্রেশন ও হেলথ আইডি কার্ড প্রদান
- অন্যান্য সেবা
এই কাজ গুলো রোবটের ন্যায় সিএইচসিপিকে একাই করতে হয়। যদিও তার সহযোগিতার জন্য কয়েকজন সহকর্মী আছে কিন্তু তারা সরকারী কর্মচারী আর সিএইচসিপিরা প্রকল্পের কর্মচারী । তাই ভুল করেও তাদের এসব কিছু করা বা সহযোগীতা করা উচিত মনে করে না ।আবার প্রশাসন যন্ত্র ও মনে করে সরকারী কর্মচারীরা কেন করবে বা তাদের দিয়ে কেন করাবে এসব করুক সিএইচসিপি। একই অফিসে চলে দৈত্য নীতি। নেই চাকুরী/কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালনা বিধিমালার যথাযথ কোন বাস্তবায়ন।যে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারদের পরিশ্রমের ফলে এত সুনাম সরকারের এবং স্বাস্থ্য বিভাগের সেই কর্মীদের একটাই দাবী চাওয়া তাদের কর্মজীবনের নিশ্চয়তা চাকুরীটা রাজস্বকরণ।তাহলে দেশের মানুষ ও পাবে নিরবিচ্ছন্ন স্বাস্থ্য সেবা কমীরা দিবে হতাশমুক্ত স্বাচ্ছন্দে স্বাস্থ্য সেবা।