কেন বারবার আন্দোলন!কমিউনিটি ক্লিনিকের ২২ ব্যাচের কর্মীরা কেন রাজপথে?

দীর্ঘ নয় মাসের বেশি সময় বেতন পাচ্ছে না কমিউনিটি ক্লিনিক এর ৭০০ কর্মী। কর্তৃপক্ষের অবহেলা এবং অব্যবস্থাপনার শিকার এই কর্মীরা। অথচ বিগত দিনগুলোতে নিরলসভাবে কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়মিত সেবা দিয়ে আসছেন তারা। এই বৈষম্য বা প্রহসনের শেষ কোথায়? এর উত্তর জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিরুত্তর। আশানুরূপ কোন উত্তর পাওয়া যায়নি কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের চেয়ারম্যানের কাছেও।

 

RIYAN-20250416-110952-Sky-Blue-by-Expert-Mistry

অবশেষে অনেকটা নিরুপায় হয়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত ২০২২ সালে যোগদানকৃত সিএইচসিপিরা। এটা ছাড়া অবশ্য উপায়ও ছিল না। কিন্তু দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে এছাড়া কোন ভাল উপায় আর মাথায় আসে না। অধিকার পাওয়ার জন্য রাস্তায় নামতে হচ্ছে, এর চাইতে হতাশার কথা আর কি হতে পারে? একটা প্রতিষ্ঠানে একজন মানুষ চাকরি করে। তার বেতন দেয়া সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। অথচ কর্তৃপক্ষ সে দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করতে রীতিমতো অপারগতা প্রকাশ করছে।

তাই কোন রকম উপায়ান্তর না দেখে কর্মীরা আজ মাঠে নেমেছে তাদের অধিকার আদায়ের জন্য। তাদের এই যৌক্তিক দাবির সঙ্গে দেশের সকল কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার একাত্মতা পোষণ করছে। এই দাবি শুধু ২০২২ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত সিইচসিপিদের নয়, এই দাবি সারাদেশে কর্মরত ১৪০০০ এর বেশি সংখ্যক সিএইচসিপি’র। আশা করছি আমার সহকর্মী ভাইয়েরা তাদের যৌক্তিক দাবি আদায় করে বাড়ি ফিরতে পারবে ইনশাআল্লাহ।

সিএইচসিপি কর্মীদের দীর্ঘদিনের অবহেলা ও চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে উদ্বেগ

 

IMG20250416120411

বাংলাদেশের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) কর্মীরা বলছেন, গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ২০১১, ২০১৫, ২০১৮ এবং সর্বশেষ ২০২২ সালে ধাপে ধাপে মোট ১৩ হাজার ৯৪৯ জন সিএইচসিপি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে এত বছরের পরও তাদের চাকরি এখনো স্থায়ীকরণ করা হয়নি।

২০১৮ সালের কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রাস্ট আইনের ২৪(ঙ) ধারা অনুযায়ী ট্রাস্ট কাঠামোতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অন্তর্ভুক্ত করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি।

সিএইচসিপি কর্মীদের অভিযোগ, তারা স্বাস্থ্য খাতে নিরলসভাবে কাজ করেও দীর্ঘদিন ধরে অবহেলা ও বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। বেতন-বোনাস প্রাপ্তির ক্ষেত্রেও রয়েছে ব্যাপক বৈষম্য। ২০২২ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত ৬৯৭ জন সিএইচসিপি ও ১২ জন হেড অফিস কর্মী বিগত ৯ মাস ধরে কোনো বেতন-বোনাস পাচ্ছেন না।

বারবার দাবি জানানো হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় তারা চরম হতাশা ও মানবেতর জীবনযাপনে বাধ্য হচ্ছেন।

দাবি:

  1. অবিলম্বে সকল সিএইচসিপি কর্মীদের চাকরি স্থায়ীকরণ এবং ট্রাস্ট কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত করা হোক।
  2. সাড়ে নয় মাসের বেতন ব্যবস্থা এবং
  3. পদায়নের চিঠি ইস্যু।

 

RIYAN-20250416-113548-Sky-Blue-by-Expert-Mistry

৯ মাস বেতন বন্ধ, স্থায়ীকরণ অনিশ্চিত– আন্দোলনে সিএইচসিপি কর্মীরা

সিএইচসিপি কর্মীরা বলছেন, গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ২০১১, ২০১৫, ২০১৮ ও ২০২২ সালে ধাপে ধাপে মোট ১৩ হাজার ৯৪৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। অথচ এখনো তাদের চাকরি স্থায়ীকরণ হয়নি। এমনকি ২০১৮ সালের কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রাস্ট আইন অনুযায়ী ২৪(ঙ) ধারা অনুসারে প্রভাষকদের, সহকারীদের, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ট্রাস্ট কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। তাদের অভিযোগ, স্বাস্থ্য খাতে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করেও তারা অবহেলা ও বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। কিন্তু এসব সমস্যা নিয়ে বারবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েও কোনো ফল পাননি সিএইচসিপি কর্মীরা।

গত মাসের শেষের দিকে ১৩ হাজার ২৮৯ জন সাড়ে তিন মাসের ১৫ ডিসেম্বর ২৪- মার্চ ২৫ পর্যন্ত বেতন-বোনাস পেলেও আমরা ২০২২ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত ৬৯৭ জন সিএইচসিপি এবং ১২ জন হেড অফিসের কর্মী বেতন পাইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Chcpbd.com