রাজ গোখরা – শংঙ্খচূড় | Ophiophagus Hannah – King Cobra

রাজ গোখরা Elapidae পরিবারের অর্ন্তভুক্ত । নাম কিং কোবরা হলেও এটি কিন্তু কোবরার কোনো প্রজাতি না এটি সম্পূর্ণই আলাদা গোত্রের একটি সাপ। এরা ঋতু মেইন্টেন করে প্রজনন করে, এরা মার্চ/ এপ্রিল এর দিকে প্রজননের লিপ্ত হবে। তার একমাস পর এরা ৪০-৫০ টা ডিম দিবে, এবং ফিমেইল সাপ শুকনো পাতা নিজের শরীরকে কুন্ডলী পাকিয়ে একত্রিত করে বাসা বানিয়ে সেই বাসার ভিতর ডিম পাড়বে। ডিম প্রায় দুমাস বা তার অধিক সময় ধরে পাহারা দিবে, ফুটার সাথে সাথে বাচ্চার দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫-২০ ইঞ্চি হয়ে থাকে। আর একটা মজার বিষয় হলো এরা যৌন মিলনের পর স্ত্রী সাপটি পুরুষ সাপকে মেরে খেয়ে ফেলে। এরা বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিষধর সাপ, লম্বায় প্রায় ১৯-২০ ফিট পর্যন্ত হতে পারে। এরা এক কামরে অন্য যেকোনো সাপের তুলনায় বিষ বেশি প্রয়োগ করে। ঘন্টায় ১২ কিমি বেগে দৌড়াতে পারে।

  • নামঃ রাজ গোখরা,শংঙ্খচূড়।
  • ইংরেজি নামঃ King Cobra.
  • বৈজ্ঞানিক নামঃ Ophiophagus hannah.
  • বিষের ধরন: Neurotoxin ও Cytotoxin.

 

রাজ গোখরা – শংঙ্খচূড় | Ophiophagus Hannah – King Cobra

 

বিষের প্রভাবঃ নার্ভ ডেমেজ করে দিবে,চোখের পাতা পড়ে আসবে, ঠোট ঝুলে যাবে,এমনকি মুখ থেকে লালাও পড়তে পারে।এর কামড়ে মৃত্যু হার বেশি ।(৭৫-১০০%)

খাদ্য তালিকাঃ এদের ছোটদের খাদ্য তালিকায় আছে, ছোট পোকামাকড়, গিরগিটি, ব্যাঙ,পাখির বাচ্চা ইত্যাদি। আর প্রাপ্ত বয়স্কদের তালিকায় তাদের সাইজ অনুযায়ী সব ধরনের সাপ। এবংকি নিজের প্রজাতিও বাদ পরেনা।আবার ইদুরও খায়, এদের পছন্দের তালিকায় দাড়াশ প্রথম শ্রেনীতে। প্রাপ্তবয়স্করা গুইসাপও খায়।

বাসস্থানঃ এরা সাধারনত পাহাড়ি ঝিরি বা পর্যাপ্ত পরিমানে পানি আছে এমন স্থানে থাকতে পছন্দ করে।এরা বেশিরভাগ সময় গাছে থাকতে পছন্দ করে মোল্টিং এর সময় হলে এরা গর্ত বা বড় গাছের কোঠরে থাকতে পছন্দ করে। যদি কেউ ডিস্টার্ব না করে আর খাদ্য অভাব না পরে তাহলে একই স্থানে একাধিক বছর বা আজীবনও পাড় করতে পারবে।

অঞ্চলঃ এদের সবচেয়ে বেশি দেখতে পাওয়া যায় সুন্দরবনের গহিন অরন্যে, চট্টগ্রাম তিন পার্বত্য জেলা ও সিলেটর বর্ডার সাইড কিছু অঞ্চলে।

চিকিৎসাঃ  কিং কোবরা সাপের কামড়ে যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ হাসপাতালে গিয়ে এন্টিভেনম দিতে হবে।

Share Please!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top