পিট ভাইপার | Crotalinea

যে সকল ভাইপারদের নাকের সামনে ছিদ্র( তাপ সংবেদনশীল গ্রন্থি/পিট অর্গান) থাকে তাদের পিট ভাইপার বলে৷ রঙ এবং অন্য বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী এদের নাম ভিন্ন হয়ে থাকে। তবে ❝পিট❞ অবশ্যই থাকে। এদের মাথা ত্রিকোনাকৃতির ও চ্যাপ্টা। মাথার উভয় পাশে পিট নামক ছিদ্র থাকে। মাথা থেকে ঘার চিকন। পিট ভাইপার নিশাচর গাছের সাপ। এরা সচরাচর গাছে থাকে। দেশের পাহাড়ি বনভূমি গুলোতে এদের বেশি পাওয়া যায়৷ একটা পিট ভাইপার সর্বোচ্চ ২-২.৫” ফিট লম্বা হতে পারে। এভারেজ ২ ফিট এর কাছাকাছি হয়ে থাকে। এরা এপ্রিল-মে মাসে প্রজনন করে, ৫ মাস পর বাচ্চা প্রসব করে। পিট ভাইপাররা ডিম পাড়েনা, তারা সরাসরি বাচ্চা প্রসব করে থাকে৷ আর এজন্য ovoviviparous বলা হয়ে থাকে। কিন্তু T. Popeiorum হলো viviparous. এরা একসাথে ১০ টা থেকে ২০ টা বাচ্চা প্রসব করতে সক্ষম, যাদের সাইজ ৮-১০ ইঞ্চি হয়ে থাকে। পিট ভাইপারের দাঁত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম বিষদাঁত৷ এদের দাঁত তুলনামুলক লম্বা এবং মোটা হয়ে থাকে৷ বাংলাদেশে দুই প্রজাতির পিট ভাইপার দেখা গেছে ৷

 

ইংরেজি নাম-ও বৈজ্ঞানিক নামঃ

  • ১. Pope’s Pit Viper. ( Trimeresurus popeiorum).
  • ২. Spot-tailed Pit Viper/Red Tailed Pit Viper.(Trimeresurus erythrurus).

Pope’s Pit Viper (Trimeresurus popeiorum):

  • Pope’s দের আলাদা করে চেনার উপায় হলো শুধু এদের চোখ৷ যদি কোনো গ্রীণ পিট ভাইপারের চোখ লাল দেখা যায় তাহলে সেটা Pope’s pit viper.

Spot-Tailed Pit Viper/Red Tailed Pit Viper (Trimeresurus erythrurus):

Red tailed/ Spot-Tailed দের বৈশিষ্ট্য হলো, এদের লেজে হলুদ বা লাল স্পট থাকে এবং পেটের ভেন্ট্রাল এর উপর দিয়ে সাদা এবং তুলনামুলক বড় বড় স্পট দেখা যায়।

  • নাম: পিট ভাইপার (Crotalinea):
  • প্রচলিত নাম- সবুজ বোড়া, টিয়া বোড়া, গেছো বোড়া।
  • বিষের ধরন: Hemotoxin
  • খাদ্য তালিকা- ছোটো ছোটো স্তন্যপায়ী প্রাণী, পাখি, উভচড় প্রানী, ইদুর ইত্যাদি।
  • অঞ্চল- পিট ভাইপারদের বাংলাদেশের পাহাড়ি বনভূমিগুলোতে দেখা পাওয়া যায়৷ সিলেট, চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, সুন্দরবনে এদের দেখা যায়৷

পিট ভাইপার | Crotalinea

 

লক্ষন ও চিকিৎসা- পিট ভাইপারদের Hemotoxin খুব বেশি তীব্র নয়, এই বিষ সরাসরি রক্তকনিকা ধ্বংস, মাংস গলিয়ে বা পচিয়ে ফেলে! পিট ভাইপারের Hemotoxin এর প্রভাবে শরীর প্রচন্ড ভাবে ব্যাথা করবে ও আক্রান্ত স্থান/অঙ্গ ফুলে যাবে ও কালো হয়ে যাবে। তবে এর কামড়ে সচরাচর মৃত্যু হয়না, যদিনা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থাকে। সরাসরি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা হলে রোগী সুস্থ হয়ে যায়।

নোট-অযথা সাপ মারা হতে বিরত থাকুন। প্রয়োজনে ৯৯৯ এ ফোন দিন অথবা বনবিভাগের সাথে যোগাযোগ করুন

Share Please!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top