কালো শরীরের উপরে ঘনঘন চিকন সাদা ব্যান্ড দেখে এদেরকে চেনা যায়। ঘাড় থেকে এই ব্যান্ড শুরু হয়। এরা অত্যন্ত ক্ষীপ্র এবং তীব্র বিষধর সাপ৷ দক্ষিণ এশিয়ায় প্রাপ্ত সাপগুলোর মধ্যে, এদেরকেই সবচেয়ে বিষধর হিসেবে ধরা হয়। এরা মার্চ থেকে জুলাই পর্যন্ত মেটিং করে, মেটিং এর কিছুদিন পর ডিম পাড়া শুরু করে। এরা মোট ২০-২৫ টি পর্যন্ত ডিম পাড়ে।
- নাম: ওয়াল’স ক্রেইট
- ইংরেজি নাম- Wall’s krait.
- বৈজ্ঞানিক নাম-Bungarus walli.
- প্রচলিত নাম- ভিমরাজ, কালো দাঁড়াশ, বেছার, মাছুয়া আলাদ, গোরাস, ইত্যাদি। (কেউ আর কোনো অন্য আঞ্চলিক নাম জানলে কমেন্টবক্সে বলে দিন)
- বিষের ধরন: নিউরোটক্সিন(নার্ভ বিষ)।
ওয়াল’স ক্রেইট | Bungarus Walli
খাদ্য তালিকা- এদের প্রধান খাদ্য সাপ৷ এটি একটি মাংসাশী প্রাণী এবং এর খাদ্যতালিকায় আছে অন্যান্য ছোট ছোট প্রাণী যেমন ইঁদুর, ব্যাঙ, টিকটিকি, নিজের বা ভিন্ন প্রজাতির সাপ,, ইত্যাদি।এদের এই খাদ্যাভ্যাস মনুষ্য বসতিতে সাপ, ইঁদুর প্রভৃতি প্রাণীর অবাঞ্ছিত সংখ্যাবৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়ক। সাপের চোয়ালের গঠন বৈশিষ্ট্যের জন্য অর্থাৎ নীচের চোয়াল নমনীয় ও উপরের চোয়ালের সঙ্গে দৃঢ় সংযুক্ত না হওয়ার জন্য এরা নিজের আয়তনের তুলনায় অনেক বড় হা করতে পারে এবং নিজের পরিধির চেয়ে বড় মাপের প্রাণী অনায়াসে গিলে ফেলে। মুখনিঃসৃত বিষ এ সময় শিকারটিকে নির্জীব রাখতে সাহায্যে করে। অপ্রাপ্তবয়স্ক বা জুভেনাইল রা কীট-পতঙ্গ, মাকড়সা ইত্যাদি খেয়ে থাকে।
অঞ্চল- চট্টগ্রাম ও সিলেটের পাহাড়ি অঞ্চল ব্যতীত সারাদেশেই পাওয়া যায়।
চিকিৎসা- যদিও খুবই ক্ষিপ্র আর চঞ্চল সাপ, তবুও আঘাত বা ভয় না পেলে কামড় দেয়ার সম্ভাবনা কম। তবুও যদি কামড় দেয়, তাহলে দ্রুত নিকটস্থ সদর হাসপাতাল অথবা সরকারি মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যেতে হবে।