শঙ্খিনী, শাখামুঠি নিশাচর, লাজুক ও ধীর প্রকৃতির সাপ৷ তীব্র বিষধর হওয়া সত্ত্বেও এরা সাধারণত মানুষকে এড়িয়ে চলে এবং সহজে কামড়ায় না। এদের বিরক্ত করলে এরা মাথা পেচিয়ে শরীরের ভিতর মাথা লুকিয়ে রাখে। মানুষের জন্য মোটেও হুমকি নয়। এরা শিকারে দ্রত এবং পটু, রাসেলস ভাইপার, কালাচ এর মত বিষধর সাপকেও খেয়ে ফেলে। তবে অপ্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় এরা আক্রমণাত্মক ও ক্ষিপ্র হয়। অন্যান্য ক্রেইটের চেয়ে এরা অনেক শক্তিশালি হয়৷ লেজের দিক ভোতা বলে এদেরকে অনেকেই দুমুখো সাপ বলে ভুল করে । শরীর ত্রিকোণাকার ও সমস্ত শরীরে উজ্জ্বল হলুদ-কালো চওড়া ডোরাডোরা দাগ থাকায় সহজে চেনা যায়। শঙ্খিনী বর্ষায় ডিম দেয় ও বাচ্চা তোলে। স্ত্রী সাপ এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে ৪ থেকে ১৪টি ডিম দেয় এবং ডিমের পরিস্ফুটনকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করে। ডিমের পরিস্ফুটনের জন্য ৬১ দিন সময় লাগে।
শঙ্খিনী, শাখামুঠি | Bungarus Fasciatus – Banded krait
- নাম: শঙ্খিনী, শাখামুঠি।
- ইংরেজি নাম- Banded krait
- বৈজ্ঞানিক নাম- Bungarus fasciatus
- আঞ্চলিক নাম- পানিচিতি, দুমুখো সাপ, গালগোয়ালি সাপ, সাপ খেকোসাপ, ইত্যাদি।
- বিষের ধরন: নিউরোটক্সিন(নার্ভ বিষ)।
খাদ্য তালিকাঃ এদের প্রধান খাদ্য সাপ৷ পাশাপাশি ইঁদুর, ব্যাঙ এ অন্যান্য সরীসৃপ খেয়ে থাকে৷ বিভিন্ন প্রকারের বিষধর সাপ খেয়ে উপকার করে।
অঞ্চলঃ সারাদেশেই কমবেশি পাওয়া যায়৷ তবে পঞ্চগড়, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনি এসব জায়গায় বেশি পাওয়া যায়।
চিকিৎসাঃ সাধারণত কামড়ায় না। যদি কামড় দেয়, তাহলে দ্রুত নিকটস্থ সদর হাসপাতাল অথবা সরকারি মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যেতে হবে।