লাউডগা সাধারণত চিকন এবং লম্বা হয়ে থাকে। এরা সাধারণত সবুজ, হলুদ, হালকা বাদামি, হালকা ধুসর রঙের হয়ে থাকে। ঘাড় থেকে দেহের মাঝ পর্যন্ত সাদা ও কালো রঙের Interscale প্যাটার্ন লক্ষ করা যায়৷ মাথা লম্বাটে। মাথার সামনের অংশ ভোতা। মাথা ঘাড় থেকে চওড়া। চোখ ডিম্বাকার। চোখের মনি আনুভূমিক (horizontal)। জ্বিহ্বা সাদা। পেটের রঙ ডর্সাল বডির থেকে হালকা হয়ে থাকে। পেটের দুপাশে সাদা বা বাদামি রঙের স্ট্রিপ ডর্সাল এবং ভেন্ট্রাল বডিকে আলাদা করে রাখে। সাধারণত ৬ ফুটের মত লম্বা হয়ে থাকে। লেজ লম্বা এবং চিকন হয়ে থাকে। প্রাপ্ত বয়স্ক সাপের লেজ প্রায় ২ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়।
Dorsal scale মসৃণ আঁশযুক্ত (Smooth scaled)। এরা ovoviviparous snake অর্থাৎ এরা ডিম না পেড়ে শরীরের মধ্যকার ডিম্বকনালীতে সংরক্ষিত রাখে। নির্দিষ্ট সময় পর অনিষিক্ত ডিম সহ বাচ্চা প্রসব করে। স্ত্রী সাপ সাধারণত বর্ষাকালে ৪ থেকে ১০টি বাচ্চা প্রসব করে থাকে।
- নামঃ- লাউডগা।
- ইংরেজি নামঃ- Yellow Whip Snake/Oriental Whip Snake.
- বৈজ্ঞানিক নামঃ- Ahaetulla flavescens
- প্রচলিত নামঃ- লাউডগা, সুতানালী, জিংলাপোড়া, বাঁশপাতালি, উড়ুক্কু সাপ, পঙখীরাজ সাপ।
- বিষের ধরনঃ- মৃদু বিষধর (হিমোটক্সিন)।
লাউডগা | Ahaetulla Flavescens – Oriental Whip Snake
খাদ্য তালিকাঃ সাধারণত লিজার্ড, ব্যাঙ, ইঁদুর, পাখি খেয়ে থাকে।
বাসস্থান ও অঞ্চলঃ সারাদেশেই কমবেশি দেখতে পাওয়া যায়। এরা সাধারণত গাছ, ঝোপঝাড়, বাঁশঝাড়ে বসবাস করে। বিভিন্ন সবজির মাচায় লুকিয়ে থাকতে পছন্দ করে।
চিকিৎসাঃ এরা রেয়ার ফ্যাং বিশিষ্ট সাপ। অর্থাৎ ৪+ ম্যাক্সিলারি দাঁতের পর এদের বিষদাঁত থাকে। তাই সহজে এরা বিষ ইনজেক্ট করতে পারে না। বিষ ইনজেক্ট করতে হলে কিছু সময় কামড়ে ধরে চাবাতে হয়। এছাড়া এদের বিষগ্রন্থি সুগঠিত নয়। তাই এরা প্রাণঘাতী বিষধর সাপের মত পর্যাপ্ত বিষ ইনজেক্ট করতে পারে না। আর এদের বিষও মানুষকে মারার মত শক্তিশালী নয়। এদের বিষে র্যাশ, ফুলে যাওয়া, ব্যথা করার মত উপসর্গ দেখা যায়। আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাসকষ্ট বা অ্যালার্জি থাকলে সমস্যা বেশি হতে পারে। মৃদু বিষধর সাপের দ্বারা আক্রান্ত হলে আক্রান্ত স্থান অ্যান্টিসেপটিক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। এরপর ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। ডাক্তার উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা প্রদান করবে।